বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বীমার অফিসে বসে যদি ছয় দফা লিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা করতে পারেন বঙ্গবন্ধু, তাহলে আমরা কেন বীমার মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিপ্লব আনতে পারব না। তিনি বলেন, বীমা দিবসকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত হবো এবং বীমার সুবিধা দেশের সর্বস্তরের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে বদ্ধ পরিকর থাকব।
আসন্ন জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) বিকেলে কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কর্তৃপক্ষের দুই সদস্যসহ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, গণমানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার অন্যতম মাধ্যম বীমা। তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খরচের পর সঞ্চিত আয়ের প্রথম অংশ যাওয়া উচিত বীমায়। আমরা এ লক্ষ্যেই কাজ করছি। যার কারণে এরইমধ্যে বীমার পেনিট্রেশন তথা বীমা গ্রাহক বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জনবলের সাথে তুলনা করে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে যথেষ্ট জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এই সীমিত জনবলের কারণে আমরা বীমা কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে তদারক করতে পারছি না। বীমাখাতের ইতিবাচক ইমেজ তৈরিতে এটি একটি বড় বাধা।
জাতীয় বীমা দিবসের আয়োজন সম্পর্কে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, এবারের আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্ণাঢ্য র্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবর্তে উদ্ভাবনী ধারণা ভিত্তিক কার্যক্রম থাকবে। এবারও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনি সরাসরি উপস্থিত থাকবেন না, থাকবেন ভার্চুয়ালি।