পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্কপানিগুলো হলো-আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড: আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় কোম্পানিটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। আলোচিত সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮২ পয়সা। আর ৩১ ডিসম্বের ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭৮ পয়সা। এছাড়া এ আর্থিক বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ৩৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১০ লাখ ৯১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৮ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সরকারি ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী দুই দশমিক ৮০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১১ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার।
বিচ হ্যাচারি লিমিটেড: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় কোম্পানিটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা (লোকসান)। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১০ টাকা ১৪ পয়সা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ১৪ লাখ এক হাজার ২১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।