দেশের ৪ শীর্ষস্থানীয় ব্রোকার হাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-স্বার্থান্বেষী গোষ্টি এই গুঞ্জন কয়েকদিন যাবত ছড়াচ্ছে পুঁজিবাজারে।
গত দু’দিন ধরে চারটি ব্রোকারহাউজের সিইওদেরকে বিএসইসি নানা অপরাধে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিএসইসির পক্ষ থেকে এসব বিষয় অস্বীকার করা হয়েছে।
এর আগে গত দুই সপ্তাহ আগে পুঁজিবাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সরকারের সাথে ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত একটি শিল্পগোষ্ঠির দুটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার অভিযোগে একটি গোয়েন্দা সংস্থা দুটি শীর্ষস্থানীয় ব্রোকার হাউজের সিইওকে ডেকে পাঠায়। তারা ওই দুই সিইওকে বাজারে অস্থিরতা ছড়ানোর অভিযোগে ভৎসর্না করে। তাদের চাপে মালিকপক্ষ ওই দুই সিইওকে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়। যদিও আলোচিত দুই সিইও এখনো নিয়মিত অফিস করছেন। তাদের ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি ছিল কেবলই গুজব।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিএসইসি কোনো ব্রোকারহাউজের সিইওকে চাকরিচ্যুত করেনি, করার কোনো প্রক্রিয়াও নেই। কাউকে চাকরিচ্যুত করার অপরাধে অভিযোগও এই মূহূর্তে বিএসইসির কাছে নেই। তাই পুরো বিষয়টি-ই গুজব।
তিনি বলেন, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বাজারকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র থেকে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। যে কোনো গুজব ছড়ানো আইন বহির্ভূত কাজ। গুজবের সাথে যুক্ত কাউকে চিহ্নিত করা গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এই ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।