বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নাম ‘এনার্জি প্রিমা লিমিটেড’। তিন দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। বর্তমানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে এই ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন আবার সেই কেন্দ্রটিরই মেয়াদ আরো এক দফা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হচ্ছে। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের। এক বছরের জন্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ব্যয় হবে একহাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। উপরন্তু চাহিদার অভাবে উৎপাদিত অর্ধেক বিদ্যুৎও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রাখা হয়েছে। এ জন্য বছরে মোটা অঙ্কের অর্থ গুনছে সরকার। কারণ বিদ্যুৎ না কিনলেও চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।
গত বছরের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিদ্যুতের মাস্টারপ্ল্যান আমরা রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা কত, সেটি এখন আবার নিরূপণ করা দরকার। কারণ অনেক অলস বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে থাকে। এতে সরকারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে আবার কোভিড-১৯-এর কারণে চাহিদার যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, সেটি হবে না। মাস্টারপ্ল্যান রিভিউ করার পর যদি দেখা যায় প্রাক্কলনের চেয়ে চাহিদা কম, তাহলে পরিকল্পনাধীন কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা হবে। এ ছাড়া তিন হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর বেশির ভাগই রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল। রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের অল্প কয়েকটা গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র রাখা হবে, জরুরি প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ নেয়া হবে। তবে কোনো ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া দেয়া হবে না, বিদ্যুৎ দিলেই কেবল বিল পাবে। এতে খরচ খুবই সামান্য হবে।’
জানা গেছে, কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ‘এনার্জি প্রিমা লিমিটেড’ কর্তৃক পরিচালিত। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ ইতঃপূর্বে তিন দফায় আট বছর বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান প্রস্তাব অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটি আবার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে। বর্ধিত সময়ের জন্য বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড’ (বিপিডিবি)-এর মোট ব্যয় হবে এক হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ের জন্য বিদ্যুতের ট্যারিফ হার প্রস্তাব করা হয়েছে ২ দশমিক ৪৭ সেন্ট (এক টাকা ৯৮ পয়সা)।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, রেন্টাল বিদ্যুতের কারণে পিডিবির বিদ্যুৎ প্রাপ্তি খরচ ক্রমেই বাড়ছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল প্রতি ইউনিট দুই টাকা ৬১ পয়সা। বর্তমানে ব্যয় ছয় টাকা ২৫ পয়সা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিলেও তা হওয়া উচিত ছিল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, দরপত্রে। এতে যে কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব দিত, তাকেই কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়া উচিত ছিল। এতে উৎপাদন ব্যয় অনেক কমে যেত। সরকার এসব ব্যবস্থা রাখেনি। ফলে শুধু কেন্দ্র ভাড়া বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হয়েছে বহু গুণ বেশি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভাড়াভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বিপিডিবি’র সাথে চুক্তি করে ‘এনার্জি প্রিমা লিমিটেড’ এবং ওই বছরই ২৩ জুলাই থেকে দৈনিক ৪৭ দশমিক ৯৪ মেগাওয়াট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে কোম্পানিটি। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রাথমিক মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে তিন দফায় এর মেয়াদ আট বছর বাড়ানো হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তৃতীয় দফা বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে এটি বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় অধিক হওয়া সত্ত্বেও ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বৃহৎ আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পর দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ক্রমান্বয়ে অবসর প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মোট এক হাজার এক মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৩টি রেন্টাল/কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অবসর দেয়া হয়েছে। তবে সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি রক্ষা ও বিদ্যুতের মূল্য কম হওয়ায় কিছু কিছু গ্যাসভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো হচ্ছে।
সূত্রমতে, আলোচ্য ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য ‘এনার্জি প্রিমা লিমিটেড’ ২০১৯ সালের ১০ জুলাই বিপিডিবি বরাবর আবেদন করে। কোম্পানির আবেদনের বিষয়টি বিবেচনার পাশাপাশি আলোচ্য ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের দখলে থাকা বিপিডিবি’র ভূমিতে ‘পিজিসিবি’ কর্তৃক জিআইএস সাব-স্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হতে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো এবং বর্ধিত সময়ের ট্যারিফ হার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে এবং তা কম দামে বিক্রি করার কারণে সরকারের ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরেও বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভতুর্কি দেয়া রয়েছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। প্রতি তিন মাস অন্তর বিপিডিসিকে ভর্তুকি অর্থ প্রদান করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, বর্তমানে দিনের শুরুতে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। আর দিনের শেষ ভাগে (সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত, যা পিক আওয়ার নামে পরিচিত) বিদ্যুতের চাহিদা গিয়ে দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ১১ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট। অথচ দেশে ২০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। তাই দিনরাত মিলিয়ে ১৪-১৬ ঘণ্টা গড়ে আট হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে থাকছে। শীতকালে এ চাহিদা নেমে ছয় হাজার মেগাওয়াটে চলে আসে।
জ্বালানি (তেল কিংবা গ্যাস), কেন্দ্রভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) ও বিদ্যুতের মূল্য বাবদ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে অর্থ দেয় সরকার। এর ফলে অলস বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হয়। ১০০ মেগাওয়াট একটি কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বছরে গড়ে শুধু কেন্দ্রভাড়াই দিতে হয় ৯০ কোটি টাকার বেশি। ফলে কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন না করে বসিয়ে রাখলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া গুনতে হয় সরকারকে।
তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের ব্যাখ্যা হচ্ছে- বৃহৎ আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পর দেশের বিদু্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ক্রমান্বয়ে অবসর প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘এইসএসডি’ভিত্তিক মোট ৩৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি, ‘এইচএফও’ভিত্তিক মোট ৩৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার চারটি এবং গ্যাসভিত্তিক মোট ২৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটিসহ মোট ১০০১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি রেন্টাল/কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অবসর প্রদান করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এইচএফও-ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। তবে সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্স রক্ষা এবং মূল্য কম হওয়ায় কিছু কিছু গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ প্রয়োজন অনুযায়ী ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তথ্যমতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে গত অর্থবছর পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি) ও রেন্টাল কেন্দ্রগুলোকে ৬১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা কেন্দ্রভাড়া বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিয়েছে। এই একই সময় দুই লাখ ৯৩ হাজার ২৯৪ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনেছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। ফলে ভর্তুকির টাকা গেছে ব্যবসায়ীদের অলস বিদ্যুৎকেন্দ্রের পেছনে। আর বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার বাকি অর্থের সমন্বয় করেছে। গত ১০ বছরে সরকার সাতবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সর্বশেষ গত মার্চে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।
গত ১৮ মে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ)। সংস্থাটির দাবি, বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বেশি স্থাপন করা হয়েছে। সে কারণে মোট বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাত্র ৪৩ শতাংশ ব্যবহার করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিদ্যুতের চাহিদা সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে বেজ লোড, ইন্টারমিডিয়েট লোড এবং পিক লোড, যার ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে। বেজ লোড সেই পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা, যার নিচে বিদ্যুতের চাহিদা কখনোই নামে না এবং সব সময়ই এটি সরবারহ করতে হয়। পিক লোড হল সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা, সাধারণত সারা দিনের মোট চাহিদার ১৫ শতাংশ হয়ে থাকে পিক লোড। বেজ লোড এবং পিক লোডের অন্তর্বর্তীকালীন লোডকে বলা হয়ে থাকে ইন্টারমিডিয়েট লোড। বিদ্যুতের চাহিদার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তৈরি করা হয়েছে। পিকিং প্ল্যান্টগুলো মূলত ওপেন সাইকেল গ্যাস টারবাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, আর বেজ লোড প্ল্যান্টগুলো পরিচালিত হয় কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইনের মাধ্যমে। সাধারণত বেজ লোডের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হয়ে থাকে কয়লা ও গ্যাসচালিত কিংবা জলবিদ্যুৎ চালিত। অপর দিকে পিক লোড বা পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো হতে পারে ফার্নেস অয়েল বা ডিজেল চালিত। বাংলাদেশের বেশির ভাগ বেজ লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট সরকারি মালিকানাধীন। আর পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো হলো রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, যা বেসরকাার মালিকানায় পরিচালিত। ২০১০ সাল নাগাদ তরল জ্বালানি দ্বারা পরিচালিত কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দ্বারা দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫ শতাংশ উৎপাদিত হতো, ২০১১ সাল নাগাদ যা দাঁড়ায় ১৩ শতাংশ এবং ২০১২ সাল নাগাদ যা ছিল ১৭ শতাংশ। ২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ১১টি রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল গ্যাস চালিত এবং ১৭টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল।
শেয়ারনিউজ/ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১