যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকের শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। আমানত সংগ্রহ ও খেলাপী ঋণের আদায় প্রবৃদ্ধিও নেতিবাচক। ফলে মোট ঋণের তুলনায় খেলাপী ঋণের হার বেড়েছে। শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় করপরবর্তী মুনাফার ধারা ইতিবাচক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সময়ে শ্রেণিকৃত ঋণ বেড়েছে ১.২০ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঋণের মোট ঋণের তুলনায় শ্রেণিকৃত ঋণ ছিল ৩.৯১ শতাংশ, যা তৃতীয় প্রান্তিকে এসে দাঁড়িয়েছে ৪.১৬ শতাংশ। ফলে মোট ঋণের তুলনায় শ্রেণিকৃত ঋণের হার বেড়েছে ৬.৪০ শতাংশ।
এদিকে শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ে ব্যর্থতাও বাড়ছে যমুনা ব্যাংকের। তবে আলোচিত প্রান্তিকে নতুন করে ঋণ শ্রেণিকৃত হওয়ার পরিমাণ কমেছে। এই সময়ে নতুন করে শ্রেণিকৃত ঋণ হওয়া কমেছে ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ নতুন ঋণগুলোর আদায় হচ্ছে নিয়মিত। জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সময়ে শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় কমেছে ৪৫ শতাংশ।
জানা গেছে, ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত ঋণের আদায়ে তেমন কোনো সফলতা আসছে না। কারণ ইতোপূর্বে বেশ কিছু ঋণ দিয়ে আটকে আছে। ফলে ঋণ আদায়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি আলোচিত সময়ে আমানত সংগ্রহের প্রবৃদ্ধিও শূন্যের কোঠায়।
এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির করপরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা যা তৃতীয় প্রান্তিকে এসে দাঁড়িয়েছে ২১৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সর্বশেষ ওই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮৮ পয়সা।
জানা গেছে, অতি সম্প্রতি ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একটি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।
এদিকে কোম্পানির শেয়ার ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথমে তথ্যের সূত্র জানতে চান। পরবর্তীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন বলেও আর যোগাযোগ করেননি। এমনকি ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০১৭ সালে ২২ শতাংশ শেয়ার, ২০১৬ সালে ২০.৫ শতাংশ নগদ, ২০১৫ সালে ১৯.৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৪ সালে ১৯ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
ব্যাংকটি ২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪৮.৪৬ শতাংশ পরিচালকদের কাছে, ৩.৮৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে, ১.৭৬ শতাংশ এবং ৪৫.৯১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদর কাছে রয়েছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম