বিদায়ী সপ্তাজুড়ে দেশের পুঁজিবাজারে পতন প্রবণতা থাকলেও শেয়ারের দর বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে দুর্বল মৌলের শেয়ার বা ‘জেড’ গ্রুপের কোম্পানি। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১৯টি বা ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এমন পতনের বাজারে দর বাড়ার শীর্ষ ১০টি স্থানের মধ্যে চারটিই দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের কোম্পানি।
গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল ‘জেড’ গ্রুপের এরামিট সিমেন্ট। ফলে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার দরে বড় ধরণের উত্থান ঘটেছে।
মূল্যে বড় ধরণের উত্থান হওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়নি। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারের দর সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৫ টাকা ৯০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দর বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না। ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০১৬ সলের পর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসের ব্যবসায় শেয়ার প্রতি ২৩ পয়সা লোকসান করেছে। এতে মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৭ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
গেল সপ্তাহে দর বৃ্দ্ধির শীর্ষ তালিকায় ছিল ‘জেড’ গ্রুপের আরও তিন কোম্পানি। এর মধ্যে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইনটেক লিমিডেটের ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।