বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রির জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে নির্ধারিত সময়ে করোনার টিকা পাচ্ছে না বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। মূলত ভারত সরকারের টিকাদান কর্মসূচিকে প্রাধান্য দেয়ার নীতির কারণেই এই টিকা আসার প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে বলে বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবন করা টিকার একমাত্র পরিবেশক হচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ব্যাপকহারে এ টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহে সেরামের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ৩ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০ লাখ টিকা গ্রহণ করেছে বেক্সিমকো, যা আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।
সরকারের টিকাদান কর্মসূচির বাইরে বেক্সিমকো বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রির জন্য আলাদা ১০ লাখ ডোজ টিকার ক্রয়াদেশ দিয়েছিল। এ মাসের মধ্যেই সেটি বাজারে আনার পরিকল্পনা ছিল কোম্পানিটির। তবে সেরামের পক্ষ থেকে বেক্সিমকোকে জানানো হয়েছে যে, ১০ লাখ টিকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৫ লাখ টিকা সরবরাহ করতে দেরি হবে।
ভারত সরকারের গণটিকাদান কর্মসূচি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দেয়ার কারণে টিকা পেতে দেরি হবে বলে এক নিয়ন্ত্রক নথিতে জানিয়েছে বেক্সিমকো। এই টিকা পেতে কতদিন দেরি হতে পারে সেটিও অনিশ্চিত বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত মাসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রির জন্য তারা সেরামের কাছ থেকে প্রতি ডোজ ৮ ডলার করে ৩০ লাখ টিকা কিনবেন। অবশ্য এর আগে সরকারের টিকাদান কর্মসূচির জন্য প্রতি ডোজ ৪ ডলার করে টিকা দিয়েছিল বেক্সিমকো।