বিদায়ী সপ্তাহ নিয়ে টানা তৃতীয় সপ্তাহ পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। আগের দুই সপ্তাহে এই পতনকে মূল্য সংশোধন হিসেবে বিবেচনা করা হলেও গেল সপ্তাহের পতন কিছুটা অস্বস্তি ছড়িয়েছে বাজারে। যদিও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের উর্ধমুখী ধারা পুঁজিবাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তির আভাস মিলেছে।
আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও বাজারে বেশিরভাগ শেয়ারের মূল্য ও সূচক কমেছে। একই সাথে কমেছে লেনদেন। এই লেদেন কমে যাওয়ার বিষয়টি সবচয়ে চোখে পড়ার মতো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমেছে। তার আগের সপ্তাহে এই সূচক ১১১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমেছিল। আর তার আগের সপ্তাহে কমেছিল ৭৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমেছিল।
গত সপ্তাহে বাজারে লেনদেন শুরু হয়েছিল সূচকের অবস্থান ৫ হাজার ৭২৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট থেকে। সপ্তাহ শেষে তা কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমেছে। আগের দুই সপ্তাহে তা যথাক্রমে ১৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট ও ২৮ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমেছিল।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭ টির, কমেছে ২১৯ টির। আর ৮৯ টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬০ ভাগ শেয়ার মূল্য হারিয়েছে গত সপ্তাহে। মূল্য বেড়েছে মাত্র ১৬ শতাংশের।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজারমূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা (০৯৭%) কমে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায় নেমেছে।