প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকভুক্তির আবেদন করা কোম্পানিগুলোর আর্থিক তথ্য, বিশেষ করে বিক্রির তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহায়তায় এ যাচাই করতে চায় বিএসইসি। এজন্য সম্প্রতি একজন ফোকাল পয়েন্ট মনোনয়ন করার জন্য এনবিআরকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইপিওতে আবেদন করা কোম্পানির প্রসপেক্টাস বিক্রির যে তথ্য দেয়া হয়েছে সেটি সঠিক কিনা তা এনবিআরের কাছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের জমা দেয়া ভ্যাট রিটার্ন ও আয়কর রিটার্নের তথ্যের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এক্ষেত্রে এনবিআরের কাছে থাকা বিক্রির তথ্যের সঙ্গে আইপিও প্রসপেক্টাসের দেয়া তথ্যের গরমিল থাকলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এর পাশাপাশি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) তৈরি করা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ডিভিএস) মাধ্যমেও আইপিওর জন্য আবেদন করা কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন যথার্থ কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। এক্ষেত্রে কমিশনের উদ্দেশ্যে হচ্ছে যেকোনো উপায়ে আইপিওতে আসার সময় কোম্পানিগুলোর অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য প্রদানের সুযোগ বন্ধ করা।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আইপিওর জন্য আবেদন করা কোম্পানির বিক্রির তথ্যের যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য এনবিআরের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এজন্য এনবিআরকে একজন ফোকাল পয়েন্ট মনোনীত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া ডিভিএস সিস্টেমের মাধ্যমেও আর্থিক তথ্য যাচাইয়ের বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আইপিওতে আসার সময় কোম্পানিগুলোর অতিরঞ্জিত আর্থিক তথ্য প্রদানের প্রবণতা দীর্ঘদিনের। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য দেখিয়ে আইপিওতে আসার কয়েক বছরের মধ্যেই কোম্পানির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে। আর এতে প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।