পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছিল ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকারসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, সরকার এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল জানতে চেয়েছে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের কাছে তহবিল দেয়ার পর এটি কীভাবে পুঁজিবাজারে কার্যকর প্রভাব রাখবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল জানতে চান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মিডওয়ে সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএসই পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মো. আনোয়ার হোসেন, ব্যাংক এশিয়ার সিকিউরিটিজের সিইও সুমন দাশ, সিটি ব্রোকারেজের সিইও মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসূফ ও এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেসের পরিচালক মো. রেজাউর রহমান বুধবারের সভায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সভায় পুঁজিবাজারের স্বার্থে সহজ শর্তে তহবিল প্রদানের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। এ তহবিল থেকে স্টক ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকারসহ সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অর্থ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে সেটি বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। এমনকি এ তহবিলের অর্থ তারা শুধু সেকেন্ডারি বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সভায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে তহবিলের অর্থ কীভাবে বিনিয়োগ করা হলে সেটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে তা জানতে চেয়েছেন। এজন্য তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল জমা দেয়ার কথা বলেছেন। তাদের কাছ থেকে কর্মকৌশল পাওয়ার পর এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিডওয়ে সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি তহবিলের বিষয়ে ইতিবাচক। পাশাপাশি তিনি পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন। ১০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শেয়ারবার্তা / আনিস