সাবসিডিয়ারি কোম্পানি জোডিয়াক পাওয়ার চিটাগং লিমিটেডে থাকা নিজেদের সব শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড। আর এ শেয়ার পাবে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসোসিয়েট কোম্পানি কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড।
জোডিয়াক পাওয়ার চিটাগংয়ের প্রতিটি ১০ টাকা দরে মোট ২ কোটি ৪ লাখ শেয়ার রয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্টের হাতে। এ শেয়ারগুলো তারা কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের কাছে বিক্রি ও হস্তান্তর করবে মোট ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ২৪০ হাজার টাকায়। এ বিষয়ে এরই মধ্যে উভয় কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষে এ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কনফিডেন্স সিমেন্টের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ১২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৮৩ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গতকাল।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৭৬ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৬ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ৫১ পয়সা।
২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কনফিডেন্স সিমেন্ট। ২০১৮ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।