পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্টায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে ২০২১ সালের মধ্যে আরো দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার, দুটি মাদার ট্যাংকার ও দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সুমন মাহমুদ সাব্বির।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সল্টগোলায় বিএসসির প্রধান কার্যালয়ে ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান।
বিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, বিএসসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩০ কোটি সাত লাখ টাকা আয় করে। আর ব্যয় হয়েছে ১৭৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কর-পরর্বতী নিট মুনাফা হয় ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গত ১৫ অক্টোবর বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের ৩০২তম সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়। এর আগের অর্থবছরে আয় ছিল ১২৯ কোটি ৪৪ লাখ, ব্যয় ১১৬ কোটি ৯২ লাখ এবং নিট মুনাফা ছিল ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
কমোডর সুমন মাহমুদ সাব্বির বলেন, এবারের মুনাফা বেড়েছে চীন থেকে সংগৃহীত ৩৯ হাজার টনের নতুন ছয়টি জাহাজ এমভি বাংলার জয়যাত্রা, এমভি বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলার অর্জন, বাংলার অগ্রযাত্রা, বাংলার অগ্রদূত ও বাংলার অগ্রগতি জাহাজের কারণে। আর সব মিলিয়ে বর্তমানে বিএসসির বহরে আটটি জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে ছয়টি এলএনজি ভ্যাসেল সংগ্রহের পরিকল্পনায় রয়েছে। এ জন্য অবশ্যই সরকার টু সরকার (জিটুজি) ঋণ দরকার। এ ধরনের ঋণের সুদহার কম হয়। সেই প্রক্রিয়ায় কম সুদে ঋণ নিয়ে জাহাজ সংগ্রহ করতে চায় বিএসসি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মতো রাষ্ট্রীয় সংস্থার বহরে বর্তমানে ৪০-৫০টি জাহাজ থাকা উচিত। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতা ও প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করতে না পারায় জাহাজ সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে সমুদ্রে পণ্য পরিবহন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বছরে সাড়ে সাত বিলিয়নের বেশি দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, বিএসসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আগামী ২৪ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের বোট ক্লাবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস