বাংলাদেশ সিকিউরিটিড অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, আমাদের বিনিয়াগকারীদের বিনিয়াগ শিক্ষা না থাকায় বারবার পুঁজি হারায়। আর এর দায়ভার দেয় কমিশনকে। আমরা তাদের জন্য ফিক্সড ইনকাম নির্ভর বন্ড ও অন্যান্য বিষয়গুলো চালু করতে পারি। এর ফলে তারা নির্দিষ্ট হারে রিটার্ন পাবে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ‘গ্রীণ বন্ডের পরিচিতি’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের মহাপরিচালক মাহবুবে আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
বিএসইসির চেয়ারম্যান সেমিনারে বলেন, শেয়ারবাজারে ৩২১টি ট্রেজারি বন্ড আছে, সেগুলো তালিকাভুক্ত। তবে সেগুলো মার্কেটেবল না এবং লেনদেনও হচ্ছে না। এগুলোকে লেনদেনযোগ্য করার জন্য কাজ চলছে। শিগগিরই ৩২১টি বন্ডকে লেনদেনযোগ্য করা হবে। আমাদের বন্ড মার্কেট একেবারেই ডেভেলপ নয়। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের ৮.২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার। তবে এই প্রবৃদ্ধির হর স্থায়ী হবে না, যদি গ্রীন বন্ড মার্কেট উন্নয়ন না করি। কমিশন বন্ড মার্কেট উন্নয়নে একটি আইন করেছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়ে উন্নয়নের কাজে লাগানো হচ্ছে। অথচ ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন করার কথা না। যে কারণে বর্তমানে ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এছাড়া ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সুদ ও আসল না দেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
ড. খায়রুল হোসেন বলেন, কমিশন নতুন একটি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট এবং পাবলিক ইস্যু বন্ড মার্কেট রুলস প্রণয়নের জন্য কাজ করছে। এছাড়া বন্ড মার্কেট কেনো উন্নত হচ্ছে না, তার কারণগুলো চিহ্নিত করে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শেয়ারবার্তা / আনিস