1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
মাস্ক কেলেঙ্কারীর জেএমআই হসপিটালকে পুঁজিবাজারে আনতে মরিয়া বিএসইসি
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ এএম

মাস্ক কেলেঙ্কারীর জেএমআই হসপিটালকে পুঁজিবাজারে আনতে মরিয়া বিএসইসি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২১
Jmi

শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : করোনা মহামারির দূর্যোগকালীন সময় মাস্ক কেলেঙ্কারীতে শাহেদ, সাবরিনাদের মতো বিতর্কের জন্ম দেয় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। আর এই বিতর্কিত কোম্পানিটিকেই পুঁজিবাজারে আনার জন্য এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। এ জন্য রোড শো করেছে কোম্পানিটি। তবে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গত ৩০ জুলাই বাতিল করে দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু সেই কমিশনই এখন কোম্পানিটিকে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যাতে করে কোম্পানিটি আইপিও প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।

এই জেএমআই হসপিটাল থেকে জীবন রক্ষাকারী এন-৯৫ মাস্ক এর নামে নকল মাস্ক সরবরাহ করে ডাক্তার-নার্সদের ঝুকিঁ তৈরী করা হয়। পরে আবার দায়মুক্তি চেয়ে ক্ষমাও চায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিনিয়োগকারীরা এ প্রতিষ্ঠানটিকে আর পুঁজিবাজারে দেখতে চান না। তাদের দাবি, যে কোম্পানির কাছে টাকাই সব, জীবনের মূল্য নেই। সে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজন নেই। এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হলে আন্দোলন করা হবে।

নকল মাস্ক সরবরাহের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নজড়ে আসে। তিনি এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, এন-৯৫ লেখা বক্স, কিন্তু ভিতরের যে জিনিসটা, সেটা দেখা দরকার। এখানে নজড় দেন। লেখা এন-৯৫ থাকলেও ভিতরে সবসময় সঠিকটা যাচ্ছে না। কেউ যদি এরকম কিছু করে থাকে এবং তার সাপ্লায়ার কে? বাবুনগর হাসাপাতালে এমন গেছে। ওটাতো করোনাভাইরাসের জন্য ডেডিকেটেড। এমন যদি কিছু কিছু জায়গায় হয়, সেটাতো ঠিক না। তাই যাদেরকে এইসব পণ্য সরবরাহের ব্যবসা দেওয়া হয়, সেদিকে নজড়দারি বাড়ানো দরকার। কারন বক্স ঠিক থাকলেও ভিতরে থাকছে না। তাই যিনি পণ্য গ্রহণ করবেন, তিনি যেনো দেখেশুনে নেন, আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই।

জেএমআই হসপিটাল বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করতে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে রোড শো করে। ওই টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, ভবন তৈরী, মেশিনারীজ ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করতে চায়। এই টাকা উত্তোলনের কাজে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২০ হাজার ৬০০ পিস মাস্ক এন-৯৫ হিসেবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) সরবরাহ করেছিল জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। দুটি চালানের মাধ্যমে এই মাস্ক সরবরাহ করেছিল। প্যাকেটের মোড়কে এন-৯৫ মাস্ক লেখা থাকলেও ভিতরে পাওয়া যায় নকল মাস্ক। যা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিদর্শনে উঠে আসে। ফলে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ভাণ্ডার ও রক্ষণের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ নিয়ে জেএমআই হসপিটালকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিষয়টি স্বীকার করে জেএমআই হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক চিঠির জবাবে জানান, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সংকটময় সময়ে মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। জেএমআই হসপিটাল স্বপ্রণোদিত হয়ে মাস্ক তৈরির চেষ্টা করছে, যা এখনো প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছে। যে সময় মাস্কগুলো সরবরাহ করা হয়, তখনো দেশে এন-৯৫-এর স্পেসিফিকেশন সংক্রান্ত কোনো সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন ছিল না। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে বেশকিছু পণ্য সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত পণ্যের সঙ্গে ভুলক্রমে প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে তৈরীকৃত ২০ হাজার ৬০০ পিস এন-৯৫ মাস্ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা এন-৯৫-এর স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে ‘কমপ্লাই’ করে না।

চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও উপরোক্ত ব্যাখ্যা সদয় বিবেচনাপূর্বক সরবরাহকৃত মাস্ক ফেরত দিয়ে আমাদের অনিচ্ছাকৃত সম্পাদিত ভুলের দায় হতে মুক্তি দানে বাধিত করবেন।’

শেয়ারবার্তা/এসআই

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ