যে আইনে দেশে নিবন্ধিত বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেই বীমা আইন পরিপালন করতে ব্যর্থ হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি নন-লাইফ বা জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি। এই ৩৩টি জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে আগামী এক মাসের মধ্যে বীমা আইন-২০১০ এর ২১ (৩) পরিপালন করতে নির্দেশনা দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সেই বীমা আইন পরিপালনে ৩৩টি জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে সাড়ে ৩৫ কোটির বেশি শেয়ার পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
গত ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ আইডিআরএ’এর পরিচালক (উপসচিব) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী এক মাসের মধ্যে বীমা আইন, ২০১০ এর ২১ (৩) ধারা পরিপালনপূর্বক তফসিল-১ অনুযায়ী ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বীমা কোম্পা্নিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠির অনুলিপি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোকে চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়নি।
বীমা আইন, ২০১০ এর ২১ (৩) ধারায় নন-লাইফ বা জেনারেল ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৪০ কোটি টাকা থাকার বিধান রয়েছে। যার ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭টি জেনারেল ইন্সুরেন্সের মধ্যে ৪ কোম্পানির উদ্যোক্তারা পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ সংরক্ষণ করছেন। কোম্পানিগুলো হলো-এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স ও রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স। অবশিষ্ট ৩৩টি কোম্পানির উদ্যোক্তারা মূলধনের ৬০ শতাংশ সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ৩৩টি কোম্পানির উদ্যোক্তাদের মূলধনের ন্যূনতম ৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হলে মোট ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার সংগ্রহ করতে হবে।
এদিকে, পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে ৪টি জেনারেল ইন্সুরেন্সে। কোম্পানিগুলো হলো-প্রভাতী ইন্সুরেন্স, অগ্রণী ইন্সুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স ও ইসলামিক ইন্সুরেন্স। প্রভাতী ইন্সুরেন্সের পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ ২৬ হাজার টাকা, অগ্রণী ইন্সুরেন্সের ৩০ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ইসলামিক ইন্সুরেন্সের ৩৭ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
নিচে তালিকাভুক্ত ৩৩টি জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানির উদ্যোক্তাদের বর্তমান শেয়ার (শতাংশে), ৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণের ঘাটতি শেয়ার (শতাংশে) এবং ৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে যে পরিমাণ শেয়ার সংগ্রহ করতে হবে, তা নিচে উল্লেখ করা হলো: