ব্যাংক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন আধিপত্য সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্তপূরণ সাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত অর্থ ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৭ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে ছিল ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। আর তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে সাত টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় তিন টাকা ৯৫ পয়সা ছিল।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ২৩ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ আট টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল আট টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির ১৭ লাখ ২২ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার মোট ৪৪৫ বার হাতবদল হয় যারা মোট মূল্য এক কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন আট টাকা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর আট টাকা থেকে ১৩ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা এক পয়সা। এর আগের বছরও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৫৬ পয়সা ও ১৬ টাকা ৯৪ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৪৪ পয়সা ও ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। ২০১৭ সালে মোট মুনাফা করে ১২৩ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১০৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৫৮ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৫ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ২৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৭ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৫৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৩৩।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম