প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) কোটায় পরিবর্তন আসছে। নতুন নিয়মে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়তে পারে। আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় চুড়ান্ত হতে পরে। নতুন আইনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা আরও ১৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এসইসির সূত্র মতে, আগামী ১লা এপ্রিল থেকে সকল সাধারণ বিনিয়োগকারীকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার দিতে চায়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আইনটিতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে চায় কমিশন।
বিএসইসি সূত্র মতে, বেশির ভাগ যোগ্য বিনিয়োগকারীর পুঁজিবাজারে কোন বিনিয়োগ নেই। অথচ তারা আইপিওর কোটা সুবিধা গ্রহণ করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা করতে চায় কমিশন। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। পাবলিক ইস্যু রুলসেও কিছু পরিবর্তন আনতে কাজ করছে কমিশন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এর আগে গত কমিশনের ৬৯৩তম সভায় পাবলিক ইস্যু আইন ২০১৫ এর নতুন রুপ দিয়েছিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। আইনটিতে ২২টি সংশোধনীতে নতুন রুপে আইপিও আইন সংশোধনী এনেছিলো কমিশন। সেই সময়ে স্থির মূল্যে (ফিক্সড প্রাইস) পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৪০% থেকে কমে ৩০% করা হয়। এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা (এনআরবি ব্যতিত) ৪০% থেকে বৃদ্ধি করে ৫০% করা হয়।
অন্যদিকে, বুক বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৬০% থেকে কমিয়ে ৫০% এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা ৩০% থেকে বাড়িয়ে ৪০% হয়।