পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার স্বার্থে কোনো গোষ্ঠি যাতে কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করতে না পারে সে লক্ষ্যে সতর্ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি । এর অংশ হিসেবে শেয়ারের মূল্য বা লেনদেনে বড় কোনো পরিবর্তন হলে তা খতিয়ে দেখার জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
নির্দেশনা অনুসারে, কোনো শেয়ারের দাম এক মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বাড়লে সেটি খতিয়ে দেখতে পারবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। এক মাসের মধ্যে কোনো কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ আগের ছয় মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি বাড়লে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবধান থাকলে, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে কোনো কোম্পানির দাম ও লেনদেন ৩০ শতাংশের কম-বেশি হলে সেগুলোও খতিয়ে দেখবে স্টক এক্সচেঞ্জ।
বিএসইসি সূত্র জানায়, শুধু শেয়ারদর বৃদ্ধি পেলেই তদন্ত হবেনা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারদর কমলেও তদন্ত হবে। কিন্তু তদন্ত কি মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে হবে, সেটাই নির্ধারণ করে দিয়েছে বিএসইসি।
এদিকে কারসাজি বন্ধে ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টিগেশন করতে চাইলে তা কি মানদন্ডে করা হবে তেমন একটি কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে আগামী দিনগুলোতে কোন বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টিগেশন করতে চাইলে ৪ টি মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে তা করতে হবে। তবে অতীতের কোন বিষয় এর আওতায় আসবে না, এখন থেকে পরবর্তী সময়ের জন্য এটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ এখন থেকে গত ছয় মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি বা পতন হয়েছে তা এর আওতায় আসবে না। সম্প্রতি দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তবে সেখানে নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এই নির্দেশনা তদন্তের স্বচ্ছতা, তদন্তের প্রস্তুতি, সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান আচরন, প্রতিষ্ঠানসমুহের সচেতনতা এবং সর্বাপরি বিনিয়োগকারিদের আস্থা বৃদ্ধি করবে। নির্দেশনাটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনিয়তা সৃষ্টি হলে প্রযোজ্য হবে। নির্দেশনাটি আগামীতে প্রযোজ্য হবে এবং ইতোপুর্বের কোন বিষয়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। কম পক্ষে এখন থেকে আগামী ছয় মাস পর যেসব শেয়ারের দর উঠা নামা করবে সেগুলো এর আওতায় আসবে।