প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবন্টনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জে কমশিনের (বিএসইসি) নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আরো সময়ের প্রয়োজন বলে মনে করে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। ইলেকট্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে কমিটি।
এছাড়া একটি বিও হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে সীমা দেয়ার বিবেচনা করা হয়েছে। আজ রবিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জে কমশিনে (বিএসইসি) আইপিও শেয়ার বরাদ্দের এক সভায় বিষয়টি উঠে আসে।
এর আগে বিএসইসি গত ৩১ ডিসেম্বর কমিশন সভায় আইপিওতে শেয়ারের আনুপাতিক সমবন্টনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ ও ১০ হাজার টাকা গুণিতক হারে আবদনের বিষয়ে জানায়।
আজকের সভায় আবেদনের সর্বোচ্চ সীমা নিয়ে আলোচনা হয়। যেখানে একটি বিও হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে সীমা দেয়ার বিবেচনা করা হয়েছে। আগামী সভায় বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বিএসইসির পক্ষ থেকে আগামী ১ এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবন্টন কার্যকর হবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে জানানো হয়।
কিন্তু ইএসএস প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ হওয়ায় দ্রুত সময় তা বাস্তবায়ন করা ঝুঁকিপূণর্ বলছে ডিএসই। দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করা হলে তা কারিগরী জটিলতা দেখা দেবে। তাই আগামী জুন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন।
সভায় কমিটির সদস্য ছাড়াও ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বলেন, মাল্টিপল আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তা উঠিয়ে দেয়া হবে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে এ সংক্রান্ত কমিটি আছে। কমিটির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।