নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক আর লেনদেন দুটোই রেকর্ড পরিমাণ উত্থান হয়েছে।প্রথম সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন পৗঁছেছে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে।সপ্তাহটিতে বাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। আর টাকার পরিমাণে লেনদেন দ্বিগুন বেড়েছে উভয় পুঁজিবাজারে। আর মূল্য সূচক ২১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১৯.৭০ পয়েন্ট বা ৪.০৭ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া যায়।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৫ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এই সময়ে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৯৯০ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন ছিল এক হাজার ১৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। এই হিসাবে ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮২৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বা ৭১.৪৭ শতাংশ।
সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৯ হাজার ৯৫১ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ১৪৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬১ টাকার বা ৭১.৪৭ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়ায় ৫৬২১.৭৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫৪০২.০৭ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ২১৯.৭০ পয়েন্ট বা ৪.০৭ শতাংশ।
ডিএসইর সেরা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই-৩০ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯৬৩.৯৬ পয়েন্ট থেকে ২০৪৮.০৭ পয়েন্টে উঠে আসে।
আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস এক হাজার ২৪২.১১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৬৫.৯৪ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০৬টির দর বেড়েছে, ৮৭টির কমেছে এবং ৩৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৮৩ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭১ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২২৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৫৪ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকা বা ১১০ শতাংশ বেড়েছে।