1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
৩ মাসে ১০০ কোটি টাকার রেমডেসিভির রফতানি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম

৩ মাসে ১০০ কোটি টাকার রেমডেসিভির রফতানি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ‘রেমডেসিভির’ রফতানি হচ্ছে বিশ্ববাজারে। গত তিন মাসে ১০০ কোটি টাকার বেশি রেমডেসিভির রফতানি করেছে দেশের ছয়টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। ওষুধটি চলতি অর্থবছর শেষে সর্বোচ্চ রফতানি হওয়া ওষুধের স্বীকৃতি পাবে বলে প্রত্যাশা করছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত মে ও জুন মাসে বেক্সিমকো, বীকন, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, স্কয়ার ও হেলথকেয়ারকে রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়। পরে বাজারজাত করার এবং রফতানির অনুমতি দেয়া হলে সেপ্টেম্বর থেকে রফতানি শুরু করে প্রতিষ্ঠানগুলো।

ঔষধ প্রশাসনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৌনে তিন মাসে ১০০ কোটি টাকার বেশি রেমডেসিভির রফতানি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী ছয়টি প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধটি রফতানি করা হয়। অনেক দেশ তাদের সরকারি দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এ ওষুধ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে। এর মধ্যে ইনসেপ্টা পাকিস্তান, গুয়াতেমালা, ডমিনিকান রিপাবলিক, উজবেকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করেছে ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৬ ডলার মূল্যের রেমডেসিভির। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে রেমডেসিভির রফতানির পূর্ণাঙ্গ তথ্য চাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ছয় প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ে একটি মাত্র ওষুধ যে পরিমাণে রফতানি করেছে, তা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

ঔষধ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলো ১৪৮টি দেশে ওষুধ রফতানি করে আসছে। এসব দেশে ২ হাজার ৮০০টির বেশি ওষুধ রফতানি করা হয়। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৬১ টাকার ওষুধ রফতানি হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ওষুধ রফতানি হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন দেশের ২৫০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা মহামারীতে বাংলাদেশে প্রস্তুত করা ওষুধের চাহিদা বিশ্ববাজারে কমেনি। করোনায় রেমডিসিভিরের যে চাহিদা বিশ্ববাজারে তৈরি হয়েছে তা আরো বাড়বে।’

বিশেষজ্ঞরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহার করা হচ্ছে। সার্স ও ইবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিকার দিয়েছিল ওষুধটি। কভিড-১৯ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), জাপান সরকার এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’ বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। মানুষের শিরায় ইনজ্যাক্ট (প্রবেশ) করে এ ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি ডোজ ওষুধের দাম পড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। রোগীর অবস্থা বুঝে ৫ থেকে ১১ ডোজ রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হয়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ