ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিদায় নিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী সানাউল হক। তার পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন সিটি ব্যাংকের চিফ কান্ট্রি কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিসিসিও) ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অফিসার (সিএএমএলও) এম আশিক রহমান। যার চূড়ান্ত নিয়োগ এখন নির্ভর করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে।
কাজী সানাউল হক বৃহস্পতিবার দায়িত্ব পালন শেষে ডিএসই থেকে বিদায় নিয়েছেন। এ কারনে তার জায়গায় কমিশন আজ আশিক রহমানকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অনুমোদনের মাধ্যমে রবিবার থেকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেবে বলে ধারনা করেছিল ডিএসই কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশিক রহমানের নিয়োগ চেয়ে ডিএসইর প্রস্তাবকে এখনো কমিশন অনুমোদন দেয়নি। যে কারনে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে চালাতে হবে আপাতত।
এখন পদত্যাগের মাধ্যমে বিদায় নিলেও নিয়োগের শুরুতেই কাজী সানাউল হকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৪জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের মধ্যে শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও মিনহাজ মান্নান ইমন। তবে এক পরিচালক স্বতন্ত্র পরিচালকদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাকে নিয়োগে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। ওই পরিচালক সানাউল হকের নেতৃত্বে সফলতা দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্নকে ভঙ্গ করে ৮ মাসের মাথায় ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করেন কাজী সানাউল হক।
ডিএসইর ওই একই পরিচালক এবার আশিক রহমানকে নিয়োগে শক্ত ভূমিকা রাখছেন। তবে এবারও তার প্রার্থীর যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকেই মনে করছেন আশিক রহমানের ডিএসইর নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা নেই।
এম আশিক রহমানের টিম পরিচালনা ও সরাসরি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে একটি ব্যাংকের কমপ্লায়েন্স অফিসার এবং প্রথম লেভেলেরও কর্মকর্তা না হওয়ায় তা আরও জোড়ালো হয়েছে।
এমনকি ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারীর মনোনিত পরিচালক শাই ওয়েনহাই এমডি হিসেবে আশিক রহমানকে যোগ্য মনে করছে না। কারন হিসেবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে তার অভিজ্ঞতা নেই।