প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে আবার বিঘ্ন ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে লেনদেন শেষ পর্যন্ত কারিগরি ত্রুটির কারণে বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর লেনদেন যন্ত্র বা ট্রেড সার্ভারে প্রবেশ করতে (লগইন) পারেনি। যার কারণে তারা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
তবে ডিএসইর লেনদেনে বিঘ্ন হলেও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দিনের স্বাভাবিক লেনদেন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ আগস্ট ওয়েবসাইটের উন্নত সংস্করণ চালু করে ডিএসই। সেসময় বলা হয়েছিল, আপডেটেড ওয়েবসাইটটি বিনিয়োগকারী বান্ধব ও অত্যন্ত রেসপন্সিভ হবে। কিন্তু আপডেটেড ওয়েবসাইট চালুর পর থেকেই দেখা দেয় বিপত্তি। ওয়েবসাইটে প্রবেশে সমস্যা, ঠিকমত তথ্য হালনাগাদ না হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ আসতে থাকে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। তাছাড়া বাড়তি লেনদেনের চাপ নিতে পারছিল না ডিএসইর ওএমএস সিস্টেম। সেসময় লেনদেন সময় বাড়ানোর পাশাপাশি সমস্যার জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল ডিএসই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে ২৪ আগষ্ট ডিএসইর ওয়েবসাইট ও ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটি অনুসন্ধানের জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মো. আসিফ হোসাইন খান, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের (আইআইটি) পরিচালক ও অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম, বিএসইসির এমআইএস বিভাগের পরিচালক রাজীব আহমেদ, এসআরএমআইসি বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং সার্ভিল্যান্স বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেডিং সিস্টেম ত্রুটিপূর্ণ এবং বাড়তি লেনদেনের চাপ নিতে সক্ষম নয়। একইসঙ্গে এক্সচেঞ্জটির ওয়েবসাইটও বেশি দুর্বল। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুততার সঙ্গে নতুন অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) আনার পাশপাশি ওয়েবসাইটে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।