পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সকল আবেদনকারীকে আনুপাতিক হারে শেয়ার দেয়া হবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে সর্বনিম্ন চাদাঁর পরিমাণ নির্ধারণ করা হলেও সর্বোচ্চ পরিমাণ বেধেঁ দেয়া হয়নি।
আইপিও শেয়ারে সর্বোচ্চ সীমা বেধেঁ না দেওয়ায় অনেকে মনে করছেন বড় বিনিয়োগকারীরা এক বিও থেকেই অনেক টাকার আবেদন করবেন এবং আনুপাতিক হারে তারা বেশি শেয়ার পেয়ে যাবেন। এই নিয়মের কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা প্রকৃতপক্ষে কিছুই পাবে না। কারণ তারা বড়দের সঙ্গে চাদাঁ প্রদান করে পারবে না। তাই নতুন নিয়ম করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে পুঁজিবাজার থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়াতে শুরু করেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর কমিশনের সভা শেষে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার বা উহার গুণিতক আবেদন করতে হবে। আর এখানেই যত সমস্যা তৈরী হয়।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, যেকোন কোম্পানির আইপিওতে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রথমে ১০ হাজার টাকার চাদাঁকে বিবেচনায় নেওয়া হবে। অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা করে বিবেচনায় নিয়ে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরেও যদি শেয়ার থাকে, তাহলে ওই থেকে যাওয়া অংশটুকু বেশি টাকার আবেদনকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে দেওয়া হবে।
আগামি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন নিয়মে আইপিওতে আবেদনের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।