1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
শত শত কোটি টাকা পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে?
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম

শত শত কোটি টাকা পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে?

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১
High-court

প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের অর্থপাচার ও দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি চলছে। এ সময় আদালত অর্থপাচার রোধে বা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

হাইকোর্ট বলেন, ‘বিদেশে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে। এতো কিছু হচ্ছে তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কিছু করছে না কেন? তারা শুধু ওখানে (অফিসে) এসে বসে থাকবেন, কিছু করবেন না তা তো হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থপাচারের দায় এড়াতে পারে না।’

আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি চলছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন, সঙ্গে আছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেজাবীন রাব্বানি দিপা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। এছাড়া রয়েছেন আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন।

একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, রেড অ্যালার্ট জারি করলে পৃথিবীর ১৯৪টি দেশের যেকোনো দেশেই পি কে হালদার থাকুক না কেন, তা জানা যাবে। তবে কানাডায় তার একটি ঠিকানা পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ৩ ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে থাকা পিকে হালদারের কানাডার হোল্ডিংয়ের ঠিকানা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে কানাডা সরকার। এরপর সেদিন জানানো হয়, যেকোনো দিন পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে ইন্টারপোল।

সেটা দু-একদিনের মধ্যেই হতে পারে। চাইলে আজও রেড এলার্ট জারি করতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ওই দিন (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চের কাছে দুর্নীতি দমন কমিশন এসব তথ্য জানায়।

পি কে হালদারের প্রতারণার শিকার সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের পরিবারসহ ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীদের এ মামলায় পক্ষভুক্ত করে আদেশ দেন আদালত। এ সময় তাদের আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরিয়ে দিতে আদালতের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তারা।

পরে আদালত তাদের আইনজীবী ছাড়াই মামলা পরিচালনা করার জন্য বলেছেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলমকে বলেছেন তাদের (ওই চারজনের) বক্তব্য এফিডেভিট আকারে আদালতে জমা দেয়ার জন্য। আজ সেটি জমা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

আজ ৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও ঠিক করেন আদালত। সেটির শুনানি চলছে।

ওই দিন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন পিকে হালদারের পিপলস লিজিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চার বিনিয়োগকারী। যাদের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের বড় মেয়ে ড. নাশিদ কামাল, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শওকত-উর রহমান ও ক্যান্সারে আক্রান্ত সামিয়া বিনতে মাহবুব। তারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু ফিরিয়ে দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানান। এ সময় তারা পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও অর্থপাচারের ঘটনায় অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধেও।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ