বছরের প্রথমদিনেই রেকর্ড হয়েছে পুঁজিবাজারে। বছরের প্রথমদিন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তেজিভাব দেখা গেছে পুঁজিবাজার। আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক একদিনে ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসই এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই শেয়ার ও ইউনিট প্রতি দাম বাড়ার তালিকা অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। এতে একদিনেই পুঁজিবাজারের মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। আস্থা বাড়ার কারণেই শেয়ারবাজারে এমন উত্থান দেখা দিয়েছে।
তারা বলছেন, এখন যেহেতু পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাই বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। কোনোভাবেই পেনিক সেল (হুজুগে বিক্রি) করা যাবে না। আবার গুজবে পড়ে অতিরিক্ত লাভের আশায় দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করাও ঠিক হবে না। বিনিয়োগকারীদের ভালো কোম্পানি বাছাই করে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। রোববারের লেনদেন শেষে এর পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার ২০৭ কোটি টাকা।
এর পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ২১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারির পর সূচকটির সব থেকে বড় উত্থান হল। ওইদিন ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ২৩২ পয়েন্ট। অবশ্য প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়ায় ১৯ মার্চ সূচকটি ৩৭১ পয়েন্ট বেড়েছিল। সেদিন পুঁজিবাজারে মাত্র ৩০ মিনিট লেনদেন হয়।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াগহ সূচক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন এক শতাংশের ওপরে দাম বেড়ছে ২২০টি কোম্পানির। এর মধ্যে ১৭৭টির দাম বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। ৪ শতাংশের বেশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১০৯টি কোম্পানি। ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি। আর ৯ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে ৩৮টির।