সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রবি আজিয়াটা ভ্যাট, শুল্কসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে প্রায় ৪৪৫টি মামলায় জড়িত রয়েছে। যে মামলাগুলোতে হেরে গেলে রবিকে দিতে হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। যা রবির ব্যবসার জন্য হয়ে দাড়াঁবে ঝুকিঁপূর্ণ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রবি আজিয়াটা ৪৪৫টি মামলায় জড়িত রয়েছে। যেখানে রবির বিরুদ্ধে করা মামলার পাশাপাশি সরকারের পাওনা দাবির বিপরীতে রবির দায়ের করা মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। ওইসব মামলাগুলোতে রবির কাছে কয়েক হাজার কোটি টাকার পাওনার বিষয়াদি রয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রবি আজিয়াটার কাছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার পাওনা নিয়ে বিভিন্ন মামলা চলছে। ওইসব মামলায় যদি রবিকে টাকা প্রদান করতে হয়, তাহলে কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে।
রবির সঙ্গে ভ্যাট সংক্রান্ত ২ হাজার ১৬৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মামলা চলমান রয়েছে। সিম রিপ্লেসমেন্ট, ২জি লাইসেন্সের উপর ভ্যাট, সিম টেক্স ও সিম টেক্সের সুদ, ভ্যাট ফাকিঁ, জরিমানা, ভ্যাট গোপন, মূলধন যন্ত্রপাতিতে এটিভির জন্য সরকার এই অর্থ দাবি করছে।
এই ভ্যাট প্রদান সংক্রান্ত বিরোধের কারনে রবি ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ৩৭টি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার মধ্যে ১৯ টি (উনিশ) শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রীমকোর্টসহ বিভিন্ন আপিল ফোরামে বিচারাধীন রয়েছে।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রবির কাছে এক নিরীক্ষার (১৯৯৭ থেকে ২০১৪) মাধ্যমে ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাওনা দাবি করেছে বিটিআরসি। এ নিয়ে রবি আদালতে গেলেও রায় পক্ষে আনতে পারেনি। উচ্চ আদালত গত বছরের ৫ জানুয়ারি ১৩৮ কোটি টাকা জমা দেওয়ার শর্তে বিটিআরসির রায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এছাড়া লাইসেন্স ছাড়াই বাংলা ফোন লিমিটেডের (বিপিএল) অপটিকাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ব্যবহারের কারনে ২০১৮ সালে বিটিআরসি রবিকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করে। এর বিরুদ্ধে রবি আজিয়াটা জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন করে। এতে রবির শুনানি শেষে উচ্চ আদালত কিছু শর্ত সাপক্ষে জরিমানায় স্থগিতাদেশ দেয়।
নিম্নে রবির প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত চলমান মামলাগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হল-