বছরের (২০২০) শেষ সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ২০ খাতের মধ্যে ১৭ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগাকারীরা ভালো মুনাফা পেলেও তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। থাত তিনটি হলো- জেনারেল ইন্সুরেন্স, লাইফ ইন্সুরেন্স ও সিমেন্ট খাত। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
লোকসানে থাকা খাত তিনটির মধ্যে লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ারে ২.২০ শতাংশ, জেনারেল ইন্সুরেন্সের শেয়ার ১.৪০ শতাংশ এবং সিমেন্ট খাতের শেয়ারে ০.৫০ শতাংশ লোকসানে রয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও জেনারেল ইন্সুরেন্স ও লাইফ ইন্সুরেন্সের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে ছিল।
অন্যদিকে, মুনাফায় থাকা ১৭ খাতের মধ্যে পাট খাতে ভালো মুনাফা পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ খাতের বিনিয়োগের রিটার্নের হার ১৭ শতাংশের কাছাকাছি। ডিসেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহেও আলোচ্য খাতে বিনিয়োগ করে ১১ শতাংশের বেশি রিটার্ন পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
আলোচ্য সপ্তাহে রিটার্নের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল টেলিকম খাত। এ খাতের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা ১৫.০২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে।
এছাড়া রিটার্নের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে গেলো সপ্তাহে ১০.৫০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে।
নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের রিটার্নের হার ছিল ১০.৫০ শতাংশ। এ খাতের সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ থাকলেও বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকে আমানতের সুদের হারের চেয়ে বেশি রিটার্ন পেয়েছে। বিবিধ খাতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা ৮.৪০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে সেবা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা ৭.২০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। খাদ্য আনুষাঙ্গিক খাত থেকে ৬.০১ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের রিটার্নের হার ৩.৯০ শতাংশ। এছাড়া কাগজ খাতের ৩.৮০ শতাংশ, আইটি খাতে ২.৮০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ২.৭০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের রিটার্নের ২.২০ দশমিক ৫ শতাংশ, ব্যাংক খাতের রিটার্নের হার ১.৭০ শতাংশ, চামড়া খাতের ১ শতাংশ, সিরামিক খাতের ০.৯০ শতাংশ, ভ্রমণ খাতে ০.৭০ শতাংশ এবং জ্বালানি খাত থেকে ০.২০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।