প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ বুধবার রিজার্ভ নতুন এ উচ্চতায় পৌঁছায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে। দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪৩.১৭ বিলিয়ন ডলার।
সে হিসাবে বাংলাদেশী মুদ্রায় বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ৩ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় ১১ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব।
এদিকে চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমান দাঁড়ায় ১৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৯ সালের একই সময়ে ১৫৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। এ হিসাবে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯.৭২ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বড় ধাক্কা খেয়েছে দেশের আমদানি খাত। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি কমেছিল ৮.৫৬ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্তই আমদানি ১২.৯৯ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিত্সাসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশীদের বিদেশ যাত্রাও প্রায় বন্ধ।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস বা জুলাই-নভেম্বর সময়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৮৯ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১.১৮ শতাংশ বেশি। এরপর ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ পর্যন্ত ১৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এলো। রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধিই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ৪৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।