বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অমান্য করে ঋণাত্মক সংরক্ষিত আয় (রিটেইন আর্নিংস) নিয়েই ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ। এ নিয়ে নিরীক্ষকও আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) করেছেন।
২০১৮ সালের ২০ জুনে বিএসইসির জারি করা এক নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না, যদি লভ্যাংশ শেষে সংরক্ষিত আয় ঋণাত্মক হয়ে যায়।
বিএসইসির এই নির্দেশনাকে অমান্য করে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অথচ কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন ঋণাত্মক সংরক্ষিত আয়ের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। যে কোম্পানিটির ওই অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৬.৩২ টাকা করে মোট ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
এছাড়া কোম্পানিটির আগের বছরের ৩০ জুন সংরক্ষিক আয় ঋণাত্মক ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকা।
ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) আগামি ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
ব্যবসায় দূর্বল এ কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে একটি চক্র গেম্বলিংয়ে জড়িত রয়েছে। যেখানে কোম্পানির উপরের মহলের লোকজনের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগও আছে। যাদের যোগসাজোশে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের মতো পচাঁ একটি কোম্পানির শেয়ার দর এখন ৩০৭.৯০ টাকায় অবস্থান করছে। আর এই গেম্বলিংকে সহজ করে দিয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মতো স্বল্প মূলধন।
এ বিষয়ে জানতে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের সচিব জামাল উদ্দিন ভূইয়ার ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।