পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা পর্ষদ ঘোষিত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নিয়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডররা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পাশাপাশি কোম্পানির ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সব কার্যক্রম, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন, নিরীক্ষা প্রতিবেদন, আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালকদের অবসর ও পুনঃনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়োগ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর নিয়োগ, নীরিক্ষক নিয়োগ ও সম্মানি নির্ধারণ এবং কমপ্লায়েন্স নীরিক্ষকের নিয়োগ অনুমোদন দেন শেয়ারহোল্ডররা।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পারফরমেন্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন এবং এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওয়ালটনের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম সভাপতিত্ব করেন। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, এস এম মাহবুবুল আলম, এস এম রেজাউল আলম, এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, তাহমিনা আফরোজ তান্না, রাইসা সিগমা হিমা, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সামসুল আলম মল্লিক এফসিএ, অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম পিএইচডি, এফসিএস, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ভুঁইয়া পিএইচডি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও আলমগীর আলম সরকার, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক রিপন এফসিএ, কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতিম দাশ এফসিএসসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (বেসিক ইপিএস) হয়েছে ২৪ দশমিক ২১ টাকা। আর ডাইলুটেড ইপিএস হয়েছে ২৪ দশমিক ১০ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫৯ দশমিক ৯৪ টাকা। আর পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬৪ দশমিক ৪৮ টাকা।