শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিসিয়ারি ওনার্স একাউন্ট (বিও হিসাবে) জমা হয়েছে।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার বিও হিসাবে জমা হয়েছে। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

রবি শেয়ারবাজার থেকে (নিজস্ব স্টাফ ব্যতিত) সংগ্রহ করে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ ৪০ শতাংশ হিসেবে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকা সংগ্রহ করে। তবে ৬২১ যোগ্য বিনিয়োগকারীর পক্ষে ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এ অতিরিক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাছাড়া সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যেও লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চলতি বছরের গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া রবি আজিয়াটার আইপিও আবেদন গ্রহণ চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম কমিশন সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি।

রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।

৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ০.০৪ টাকা।

এর আগে ২০১৮ সালে রবির ইপিএস ছিল ০.৪৬ টাকা। তবে ২০১৭ সালে ০.০২ টাকা ও ২০১৬ সালে ১.৮৮ টাকা শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল।

রবির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস।