ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড বিদায়ী সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদাম বেড়েছে ২৩ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৩৭ লাখ দুই হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদাম ছয় দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বা ১৯ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩৪৬ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৪টি শেয়ার মোট তিন হাজার ২৫৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদাম ১৮ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা ৩৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৬৬ পয়সা। এ সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৪৮ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আয়োজন করা হয়েছে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ২১ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৭৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক তিন দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা পাঁচ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৭৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ছয় টাকা ৮৬ পয়সা ও ৭১ টাকা ২৭ পয়সা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫৭ দশমিক ৩৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১০৮ দশমিক ৪১।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন দুই কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড। ‘এন’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৮ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে থাকা ‘এ’ ক্যাটেগরির এসএস স্টিল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা ‘এন’ ক্যাটেগরির ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৮ কোটি ৫১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার।
ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ‘এ’ ক্যাটেগরির সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন দুই কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তম অবস্থানে থাকা ‘বি’ ক্যাটেগরির মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন পাঁচ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার।
এরপরের অবস্থানে থাকা ‘বি’ ক্যাটেগরির মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার।