কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে আবারও কম পরিশোধিত মূলধন সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। যে কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন অপেক্ষাকৃত কম এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বেশি ছিল। ফলে দিন শেষে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারদর বেশি বাড়তে দেখা যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল এক থেকে ১০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এমন কোম্পানির শেয়ার। দিন শেষে দেখা যায় গতকাল মোট ৬২ শতাংশ বিনিয়োগকারীর নজর ছিল এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে।
এসব শেয়ারদর বেশি বৃদ্ধির কারণ এখান থেকে দ্রুত মুনাফা তুলতে চাইছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ঝুঁকে পড়ছেন এ ধরনের শেয়ারে। তবে এ সব শেয়ারে সব সময়ই ঝুঁকি থাকে। কারণ এ ধরনের কোম্পানিতে শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় এখানে কারসাজির শঙ্কা বেশি থাকে। অর্থাৎ এখানে থেকে যেমন লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার চেয়ে বেশি রয়েছে ক্ষতির শঙ্কা। তাই এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।
এদিকে দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ১২৩ পয়েন্টে। দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হতে দেখা যায় ৯৭২ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। এদিন ব্লক মার্কেটে মোট ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। কোম্পানিগুলোর ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৪টি শেয়ার ৫৭ বার হাত বদল হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ কোটি ৭০ লাখ আট হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্র্যাক ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ৫৭ লাখ টাকার আমরা টেকনোলজিসের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি সাত লাখ ৮৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া আমান কটনের ৭২ লাখ সাত হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৩০ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং কনফিডেন্স সিমেন্টের সাত লাখ ৩৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়।