পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন) করেছে কোম্পানিটির নিরীক্ষক।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় গ্রাহকের কাছ থেকে ৩১ কোটি ৬ লাখ টাকা পাওনার বিপরীতে আদায় অযোগ্য বিবেচনায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সঞ্চিতি (প্রভিশন) গঠন করেছে। তবে কোম্পানিটি এ বিষয়ে কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
এদিকে, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ উৎসে কর হিসেবে ভ্যাট কেটে রেখেছে, তবে সরকারি কোষাগারে সেই ভ্যাট জমা দেয়নি। ভ্যাট বাবত কোম্পানিটির ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বকেয়া হয়ে গেছে।
কোম্পানিটি ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম বলে আর্থিক হিসাব তৈরী করেছে। কিন্তু পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি টাকার বিপরীতে কোম্পানিটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লোকসান করেছে। এতে করে পূঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ টাকা।
তবে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা দূর্বল হলেও শেয়ার দরে রয়েছে চাঙ্গাভাব। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করার পর সোমবার ও মঙ্গলবার (১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর) হঠাৎ ঝলসে উঠে।
আলোচ্য দুই দিনই কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়ে যায়। দুই দিনে শেয়ারটির দর ৯০৪.৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০৪৫.৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দুই দিনে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৪০.৭০ টাকা বা ১৫.৫৫ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরে কোম্পানিটি নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩২.২৫ টাকা।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২০ লাখ। এর মধ্যে সরকারের হাতে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.৮১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭.১৯ শতাংশ।