পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাচ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা (এজিএম) বার্ষিক সাধারণ সভায় ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন।
দ্য পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দ্য পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির ৮ম ইজিএম ও ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন।
এছাড়াও ৩০ জুন ২০২০ তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত লাভ লোকসান হিসাব ও স্থিতিপত্র এবং সেই সঙ্গে নিরীক্ষক ও পরিচালক মন্ডলীর প্রতিবেদন গ্রহণ, বিবেচনা ও অনুমোদন এবং কোম্পানির আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী পরিচালন হিসেবে মোস্তাফা তাহসিন আরশাদ ও আয়শা সুলতানার পুন-নির্বাচন অনুমোদন করা হয়।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২০ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য নিরীক্ষক মেসার্স হুদাভাসী চৌধুরী এন্ড কোং, চার্টাড একাউন্টটকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি চলতি বছরের জন্য কর্পোরেট গভর্ন্যান্স নিরীক্ষক মেসার্স এস আহমেদ এন্ড কোং, চার্টাড একাউন্টটকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহবুব-উর-রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা তাহসিন আরশাদ, পরিচালক বিলকিস আরশাদ, আয়শা সুলতানা, মনোনিত পরিচালক আবুল হোসাইন, স্বতন্ত্র পরিচালক ডা. শেখ মোহাম্মদ শফিউল আজম ও পরিচালক ড. মোহাম্মদ ফসিউল আলম। সভা পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ নূরুল আজিম।
মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড
বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন। আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে কোম্পানির ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন-প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ জাব্বার, ভাইস-চেয়ারম্যান এম এ রহিম, পরিচালক এম এ কাদের, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুস সালাম, ব্যারিস্টার নাসের আলম, সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন, নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন। আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা এই লভ্যাংশ অনুমোদন করেন।
কোম্পানির চেয়ারম্যান আনিতা হকের সভাপতিত্বে সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনসহ পরিচালক এবং কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কোম্পানির কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যে খাবার, বাসস্থান এবং চিকিৎসা সেবার জন্য ক্লিনিকের ব্যবস্থা গ্রহণ করে যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে তার প্রশংসা করেন শেয়ারহোল্ডাররা। বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে ২০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পর বর্তমানে আরও ৩০ মেগওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টে কোম্পানির বিনিয়োগ বহুমুখীকরণের জন্য প্রশংসা করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এ যাবদ কালের সর্বোচ্চ পরিমান ইপিএস অর্জন করে এ ক্রান্তিলগ্নে টেক্সটাইল শিল্পের অন্যতম সর্বোচ্চ লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর একটি হিসেবে ৩০ জুন, ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ (শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য) এবং ৫ শতাংশ স্টক অর্থাৎ মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের জন্য কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের প্রতি সকলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় পরিচালক ও উদ্যোক্তারা নগদ লভ্যাংশ না গ্রহণ করার মত মানবিক সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা পর্ষদ ঘোষিত ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। আজ সোমবার(১৪ ডিসেম্বর)ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম)শেয়ারহোল্ডাররা এই লভ্যাংশ অনুমোদন করে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ অন্তর্বতীকালীন আর ২০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশসহ মোট ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
সামিট পাওয়ারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান মো. লতিফ খান, পরিচালকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আঞ্জুমান আজিজ খান, মো. ফরিদ খান, আয়েশা আজিজ খান, ফয়সাল করিম খান, আজিজা আজিজ খান, হেলাল উদ্দীন আহমেদ, আরিফ আল ইসলাম।
এছাড়াও ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জে. (অব.) প্রকৌশলী আবদুল ওয়াদুদ। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ সিদ্দীকী, জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী এবং ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার অ্যান্ড কোম্পানির সেক্রেটারি স্বপন কুমার পাল এফসিএ-সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সামিট পাওয়ারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। কিন্তু আমাদের যদি কোয়ালিটি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে পৌছাতে হয় তাহলে আমাদের সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। আমাদের সরকারের কাছে অনুরোধ রইলো যেন বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নে বেসরকারি খাতকেও সহযোগী করেন।
উল্লেখ্য, সামিট পাওয়ার দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় ট্রিপল ‘এ’ রেটিং প্রাপ্ত এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান। এটি সামিট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। সামিট বতর্মানে জাতীয় গ্রীডের জন্য ১ হাজার ৯৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০০৫ সালে ঢাকা এবং চট্রগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্তির পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সামিট গ্রুপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালে থেকে টানা পাঁচবার সেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের পুরস্কার পেয়ে আসছে।
লুব্রিকেন্ট কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড
লুব্রিকেন্ট কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। বুক বিল্ডিং শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, জানুয়ারিতে আইপিওতে আবেদন গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে সেকথা জানাননি তিনি।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলনের লক্ষ্যে গত ১৮ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৯তম সভায় কোম্পানিটির আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, লুব-রেফের ১৫০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৩ হাজার ১৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যুর জন্য কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস প্রকাশ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন।
এর আগে লুব-রেফের শেয়ারের প্রান্তসীমা নির্ধারণে এ বছরের ১২ অক্টোবর বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে টানা ৭২ ঘণ্টার বিডিং শেষ হয় ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫টায়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্ত-সীমা মূল্য (কাট-অফ প্রাইস) ৩০ টাকায় নির্ধারণ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। পাবলিক ইস্যু রুলস অনুসারে, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রান্ত-সীমা মূল্যের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৭ টাকায় কোম্পানিটি শেয়ার পাবেন।
এ বছরের ২০ আগস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশন সভায় লুব-রেফকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুসারে, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৩১ টাকা ৯৩ পয়সা আর পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া এনএভিপিএস ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। গত ৫ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস ২ টাকা ২৩ পয়সা।