দেশের পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়াতে ও সহজলভ্য করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই লক্ষ্যে ডিজিটাল বুথ স্থাপনে করণীয় নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কমিশন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোন স্টক ব্রোকার স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। যে বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোন ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্ধারা পরিচালনা করা যাবে না।
দেশের সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ সদর দফতরে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। এছাড়া দেশের বাহিরেও একই জাতীয় স্থানে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। দেশের বাহিরে স্থাপনের ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে।
ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে বলে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
দেশের ভিতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। যা দেশের বাহিরে খোলার জন্য ১০ লাখ দিতে হবে।
দেশের বাহিরে বুথ খোলার ক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির জন্য এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। যা ব্রোকার হাউজের পর্ষদের মনোনিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা বা অফিসার বা যেকোন পরিচালকের সাক্ষরিত হতে হবে।
বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নাম্বার, নারী ও প্রতিবন্ধিদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে ১জন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপ্লে টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বুথের সামনে সাইনবোর্ড থাকবে, যেখানে স্টক ব্রোকারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, লোকাল এড্রেসের বিস্তারিত তথ্য, যোগাযোগ নাম্বার ও মেইল এড্রেস থাকবে।
প্রতিটি বুথে অ্যাকাউন্টস খোলা ও বন্ধ, ট্রেডিং ইত্যাদি সীমাবদ্ধ হবে। যেখানে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গ্রামীন এলাকায় নগদে ২ লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন। বুথ থেকে গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে ব্রোকার হাউজ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে বুথের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার আগে এক বা একাধিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।