1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ঋণ প্রতারণার অভিযোগ গোল্ডেন হার্ভেস্টের
রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৪ এএম

ঋণ প্রতারণার অভিযোগ গোল্ডেন হার্ভেস্টের

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
golden-hervest

গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ঋণ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখিত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে নিরীক্ষক ম্যাবস জে পার্টনার্স চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জানিয়েছে, কোম্পানিটি ২ দফায় পুজিবাজার থেকে ঋণ পরিশোধের নামে অর্থ সংগ্রহ করেছে। অথচ ওই কোম্পানি থেকেই উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের অন্য কোম্পানিতে প্রায় ৮২ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের থেকে অনুমোদন নেয়নি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

এর আগে পুজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুসন্ধানে কোম্পানির ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠে আসে। কোম্পানি ঋণে জর্জরিত থাকলেও একই গ্রুপের উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের নিজস্ব কোম্পানিতে বিনাসুদে ঋণ দিয়েছে। এতে গোল্ডেন হার্ভেস্টকেই সুদজনিত ব্যয় বহন করতে হচ্ছে, যার দায় টানছেন বিনিয়োগকারীরা।

বার্ষিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, গোল্ডেন হার্ভেস্ট থেকে একই গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানিতে ৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। যা ‘আদার রিসিভিব্যল’ হিসাবে চলতি সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে সমন্বিত আর্থিক হিসাবের নোট ২৫.০২ এ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) হিসাবে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার সঞ্চিতি দেখানো হয়েছে, যা চলতি দায় হিসাবে এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার ফান্ড শিরোনামে ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড শিরোনামে ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ডব্লিউপিপিএফ শিরোনামে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু শ্রম আইন অনুযায়ী বিতরণ করা হয়নি। এক্ষেত্রেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ঋণ পরিশোধের কথা বলে পুজিবাজার থেকে ২০১৩ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এবং ২০১৯ সালে রাইট রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছে।

কোম্পানিটি গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে পুজিবাজার থেকে রাইট ইস্যুর জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। ৪টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ৩টি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২০ টাকা সংগ্রহ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে ইস্যুর মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধের কথা বলে পুজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করে। ওই সময় ৩৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৩ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করার কথা বলেছিল।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ