1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
বছর শেষ না হতেই নতুন মাইলফলকে রেমিটেন্স
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

বছর শেষ না হতেই নতুন মাইলফলকে রেমিটেন্স

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
Bangladesh Bank

বছর শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ বাকি থাকতেই ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক রোববার রেমিটেন্স প্রবাহের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

সব মিলিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ২০.৫০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯ সালের পুরো সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।

এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিটেন্স আর কখনো আসেনি। ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল।

এই হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ১১.৭০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।

আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে (২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন) এসেছিল ৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

মহামারীর কারণে রেমিটেন্স কমে যাবে বলে ধারণা করা হলেও তা ঘটেনি। মহামারীর আঁচ বিশ্বের অর্থনীতিতে লাগার পর গত এপ্রিল মাসে রেমিটেন্স কমলেও এরপর আবার বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহামারীর এই কঠিন সময়েও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেড়েই চলেছে। আর এ কারণেই বছর শেষ না হতেই ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বছর শেষে তা ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছি।

২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১৮.২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ছিল আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০.৮৭ শতাংশ বেশি।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো এই অর্থ। দেশের জিডিপিতে সবমিলিয়ে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

নতুন মাইলফলকে রিজার্ভ
এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪২ বিলিয়ন (৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক ছুঁতে চলেছে।

রোববার দিন শেষে রিজার্ভে ছিল ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রিজার্ভে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার ছিল।

বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে সাড়ে দশ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

গত কয়েক বছর ধরেই রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। দশ বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে সেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত বছরের অক্টোবরে। চলতি বছরের ৩০ জুন সেই রিজার্ভ বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। অক্টোবরের ৮ তারিখে ছাড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের বিল পরিশোধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের উপরেই থাকবে।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ