পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে বাজারচিত্র। সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীরাও তাদের লেনদেনে পরিবর্তন আসছেন। যে কারণে নির্দিষ্ট কিছু খাত থেকে বের হয়ে আসছেন তারা। বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন অন্যান্য খাতের কোম্পানিতে। যার জের ধরে এসব খাতের কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে। পাশাপাশি মোট লেনদেনে খাতগুলোর একক অবদানও বাড়ছে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর এক সঙ্গে পাঁচ খাতের কোম্পানির আধিপত্য দেখা গেছে। প্রতিটি খাতের মোট লেনদেনে একক অবদান ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এই দৌড়ে সবার শীর্ষে ছিল বিমা খাত। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল ১৭ শতাংশের বেশি।
এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। গতকাল এ খাতের শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা দেখা যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে খাতটির অবদান দাঁড়ায় ১৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগ্রহ দেখা যায় বিবিধ খাতের শেয়ারেরও। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া প্রকৌশল খাতের মোট লেনদেনে অবদান ছিল ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে গতকালও ঊর্ধ্বমুখী ছিল পুঁজিবাজার। এ নিয়ে টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল সূচক। গতকালের বাজারচিত্র লক্ষ করলে দেখা যায় লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সারা দিন একই অবস্থায় থেকে শেষ হয় লেনদেন। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ২৯ পয়েন্ট। সূচক স্থির হয় পাঁচ হাজার ৫৩ পয়েন্টে।
অন্যদিকে সূচকের পাশাপাশি গতকাল লেনদেনও কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৮৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৩২ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। কোম্পানিগুলোর ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৭টি শেয়ার ৭৩ বার হাতবদল হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩২ কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ কোটি ৫৫ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় কোটি ৪৮ লাখ টাকার ট্রাস্ট ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সিঙ্গার বিডির।