1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ব্যবসায় ধুকছে ন্যাশনাল ফিড
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

ব্যবসায় ধুকছে ন্যাশনাল ফিড

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
national feed

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ৫ বছরের মধ্যে শেষ ৩ বছর ধরে ব্যবসায় ধুকছে ন্যাশনাল ফিড মিল। আর এই কোম্পানিটি থেকেই উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে অবৈধভাবে টাকা সড়ানো হয়েছে। এতে লাভবান হচ্ছে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা। আর প্রতারিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এদিকে ন্যাশনাল ফিড মিল ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৮ কোটি টাকা সংগ্রহের পরে ২ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ১ টাকার উপরে থাকে। এরপরে শুরু হয় পতন।

যার ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ০.৫৬ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.১৫ টাকা ও সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ০.১৭ টাকা ইপিএস হয়েছে। ব্যবসায় এমন দূর্বল কোম্পানিটি থেকে পরিচালকদের ব্যক্তিগত ৩ কোম্পানিতে প্রায় ৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবের নোট-৭এ অ্যাডভান্স, ডিপোজিট ও প্রিপেমেন্টস হিসাবে ৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এরমধ্যে কোন স্বার্থ ছাড়াই উদ্যোক্তা/পরিচালকদের নিজেদের কোম্পানি ন্যাশনাল ইলেকট্রোড অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসে ২২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া কর্ণপুর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এরমধ্যে ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বিনা স্বার্থে প্রদান করা হয়েছে এবং বিক্রিবাবদ ৬৮ লাখ ৯ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে।

এছাড়াও ন্যাশনাল হ্যাচারি লিমিটেডের কাছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এরমধ্যে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে বিনা স্বার্থে এবং ৬৯ লাখ টাকা বিক্রিবাবদ পাওনা রয়েছে।

উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্পর্কিত এসব কোম্পানিতে বিনা স্বার্থে অর্থ প্রদান করা হলেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এরফলে বিএসইসি নোটিফিকেশন নং বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৩২/২/এডমিন লঙ্ঘন করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ফিড মিলের ২০১৯ সালের ৩০ জুন বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে বাকিতে বিক্রির কারনে পাওনা টাকা ছিল ৭২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন বেড়ে হয়েছে ৭৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এভাবে নিয়মিত গ্রাহকের কাছে পাওনা টাকার পরিমাণ বাড়লেও বছরভিত্তিক গ্রাহকদের কাছ থেকে সন্তোষজনক আদায় হচ্ছে না। আদায়ে ঝুকিঁ থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এদিকে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে প্রত্যাশিত ক্ষতির জন্য কোন সঞ্চিতিও (প্রভিশন) গঠন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এর মাধ্যমে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখাচ্ছে ন্যাশনাল ফিড কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ি, মুনাফার ৫ শতাংশ দিয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট অ্যান্ড পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করতে হয়। তবে ন্যাশনাল ফিডের ম্যানেজমেন্ট তাদের মতো করে এই ফান্ডের পরিমাণ নির্ধারন করেছে এবং সঞ্চিতি গঠন করেছে। তবে কোন অর্থ শ্রমিকদের প্রদান করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ নভেম্বর) লেনদেন শেষে ন্যাশনাল ফিডের শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৭.৪০ টাকায়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ