প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ শুরু করা দূর্বল ব্যবসার মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভিযোগ করেছেন এক পাওনাদার। মোবাইল টাওয়ারের ভাড়া বকেয়া থাকলেও রবি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে রবি বলছে তাদের কাছে কোন পাওনা বকেয়া নেই।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওয়ারির স্বামী বাগের কেএম দাস লেনের ৬৩/৬-ডি এর বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম এই অভিযোগ দাখিল করেছেন।
রফিকুল ইসলাম অভিযোগে বলেছেন, রবির কাছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৭ টাকা টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের ভাড়াবাবদ এই টাকা বকেয়া থাকলে রবি তা পরিশোধ করছে না।
উক্ত বিষয়ে রবি কমিশনকে জানিয়েছে, রফিকুল ইসলাম কিছু সত্য গোপন করে কমিশনকে বিভ্রান্ত করছে। তার কাছে রবির মোবাইল টাওয়ারের জন্য কোন অপরিশোধিত ভাড়া নেই। এমনকি তিনি কখনো বকেয়া ভাড়া হিসেবে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৭ টাকা দাবি করেননি।
তবে রবি জানায়, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এয়ারটেলের সঙ্গে (বর্তমানে রবির সঙ্গে একীভূত) রফিকুল ইসলামের একটি লীজ চুক্তি হয়। তবে একীভূত হওয়ার পরে ওই অঞ্চলে রবির একই জাতীয় টাওয়ার থাকার কারনে লীজ চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি ইস্যু করে রবি। যা মানে না রফিকুল ইসলাম। তিনি ভবনের ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। যা চুক্তি বাতিলের চিঠি ইস্যুর পূর্বে দাবি করেননি।
পরে রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে ২০১৮ সালে একটি অর্থ মামলা দায়ের করেন। তবে চুক্তি অনুযায়ি উভয় পার্টির মধ্যে যেকোন বিরোধ সালিশি আইন ২০০১ অনুযায়ি সালিশির মাধ্যমে সমাধানের যোগ্য হওয়ায় আদালত মামলাটি স্থগিতাদেশ দেয়। এরপরে রফিকুল ইসলাম একটি সালিশি মামলা দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে ঝুলে (পেন্ডিং) আছে।
পাওনা আদায়ের জন্য রফিকুল ইসলাম টাওয়ার সড়াতে তার বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না রবি কর্তৃপক্ষকে। এ জন্য পাল্টা দাবির কথা ভাবছে রবি। যা সালিশি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বে এই দাবি তুলবে রবি।