দেশের পুঁজিবাজার থেকে ২০১৫ সালে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে রিজেন্ট টেক্সটাইল। যা ব্যবহারের জন্য কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। এখনো সেই ফান্ডের ৩৬ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এরপরেও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বুধবার (১৮ নভেম্বর) ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।
এক্ষেত্রেও ব্যবসায় সম্প্রসারনের নামে এমনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেখা গেছে,রিজেন্ট টেক্সটাইল আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা (১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ) দরে ইস্যুর মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যা ব্যবহারের জন্য ১৭ মাস বা ২০১৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমা ছিল।
কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষেও ৪৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৩৬ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। যা ব্যবহারের জন্য কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও শেষ করা যায়নি।
এই দীর্ঘসময়ে আইপিও ফান্ড ব্যবহার করতে না পারার কারনে ওই ফান্ডের উপর এফডিআরজনিত সুদবাবদ আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যাতে করে এখন মোট আইপিওর অব্যবহৃত ফান্ডের পরিমাণ বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায়।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটির পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ ও সবার জন্য ১ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ০.৩১ টাকা লোকসান হয়েছে।
এ বিষয়ে রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে, ব্যবসা সম্প্রসারন ও ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য রিটেইন আর্নিংস থেকে বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
১২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের রিজেন্ট টেক্সটাইলে ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) লেনদেন শেষে রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৮.৪০ টাকায়।