দেশের পুঁজিবাজারে থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলনের জন্য ‘বিএনও’ ব্র্যান্ডের লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব অনমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিএসইসির ৭৪৯তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুযায়ী, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এ জন্য কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিলামে ‘বিএনও’ ব্র্যান্ডের লুব-রেফের কাট-অফ প্রাইস ৩০ টাকা নির্ধারন হয়েছে। কোম্পানিটি ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৪টি শেয়ার ইস্যু করবে। এ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু দর পড়বে ৩৩.১৫ টাকা।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ি, বিডিংয়ে কাট-অফ প্রাইস থেকে উপরে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা যে দর প্রস্তাব করবেন, সেই দরে শেয়ার নিতে হবে। যাতে করে লুব-রেফের কাট-অফ প্রাইস ৩০ টাকা হলেও এর উপরে দর প্রস্তাবকারীদেরকে তাদের প্রস্তাবিত দরেই শেয়ার কিনতে হবে।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা করে দর প্রস্তাব করা এশিয়া ইন্স্যুরেন্সকে ওই দরেই শেয়ার কিনতে হবে। এমনটির কারনে গড় শেয়ার ইস্যু দর কাট-অফ প্রাইসের থেকে বেশি হবে।
এদিকে কোম্পানিটির বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৮৮ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকার জন্য ২ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা গড়ে প্রতিটি শেয়ার কিনবেন ৩৯.৩০ টাকা করে।
অন্যদিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের বিধান অনুযায়ি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য কাট-অফ প্রাইসের থেকে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে শেয়ার ইস্যু করা হবে। এ হিসাবে আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ২৭ টাকা করে ইস্যু করা হবে।
এ জন্য সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬১ কোটি ৭ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা সংগ্রহের জন্য ২ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে গড়ে প্রতিটি শেয়ার ২৭ টাকা করে বিক্রি করা হবে।
লুব-রেফের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনের জন্য গত ১২ অক্টোবর বিকাল ৫টায় নিলাম শুরু হয়। যা শেষ হয় ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫টায়। নিলামে সর্বনিম্ন ১৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায় দর প্রস্তাব করেন অংশগ্রহণকারীরা।
সবচেয়ে বেশি ১৪ জন করে ২৫ টাকা ও ৫৫ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ জন ২৭ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।
উল্লেখ্য, যেসকল যোগ্য বিনিয়োগকারী ৫০ টাকার উপরে বিডিং করেছে সে সকল বিনিয়োগকারীকে কমিশনের ডাইরেক্টিভ নং বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/২০৪, ডেটেড ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ অনুযায়ী বির্ডি করেছে কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা তলবের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে আজকের সভায়।