দেশের পুঁজিবাজারে আসার সময় ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর গ্রামীণফোনের পরিশোধিত মূলধন ছিল ২৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। যা দিয়ে কোম্পানিটির ওই বছরে মুনাফা হয়েছিল ৩০৬ কোটি টাকা।
এবার পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি হিসেবে আসছে জিপির চেয়ে প্রায় ২ হাজার শতাংশ বেশি পরিশোধিত মূলধন নিয়ে রবি আজিয়াটা। এক্ষেত্রে রবি এগিয়ে থাকলেও মুনাফায় আশেপাশেও নেই।
জিপির প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, পুঁজিবাজারে আসার সময় ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর গ্রামীণফোনের পরিশোধিত মূলধন ছিল ২৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আর ওইসময় কোম্পানিটির রিটেইন আর্নিংস ছিল ২ হাজার ১৫১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
তবে সবসহ নিট সম্পদ ছিল ২ হাজার ৬১১ কোটি ১১ লাখ টাকার। এ হিসেবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ছিল ১০৭.৪৪ টাকা।
এই কোম্পানিটির ২০০৭ সালে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ওইবছরে প্রশাসনিক, মার্কেটিং, অবচয় ও টেক্স ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের বছরের ৭৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা থেকে এই মুনাফায় নেমে আসে। মুনাফা অর্ধেকে নেমে আসার পরেও ২০০৭ সালে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয় ১২.৫৯ টাকা।
এদিকে গ্রামীণফোন ২০০৯ সালে পুঁজিবাজার থেকে ৪৮৬ কোটি ৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ৬০ টাকা প্রিমিয়ামে ইস্যু করে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ে। এছাড়া বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে প্লেসমেন্টে প্রতিটি শেয়ার ৭৪ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়ায়। এরপরে আর কখনো কোনভাবেই কোম্পানিটির মূলধন বাড়ানো হয় নাই।
আইপিওতে আসার আগে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ২০০৮ সালে ৪০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় গ্রামীণফোন। এতে করে পরিশোধিত মূলধন বেড়ে হয় ১ হাজার ২১৫ কোটি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭০ টাকা।