দেশের পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বাতিল করে ফিক্সড প্রাইসে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
গতকাল রোববার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুঁজিবাজরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) সংগঠনটির সভাপতি এ.কে. এম. মিজান-উর রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এদিন রাতে রাইজিংবিডিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অব প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিডিং প্রক্রিয়ায় প্রতিটি কোম্পানির ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে যথেষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এখানে ইস্যু ম্যানেজারগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
তাছাড়া প্রতিটি কোম্পানির বিডিং প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারের সহায়তায় কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা পরস্পর যোগসাজসের মাধ্যমে শেয়ারের উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে।
বিএসইসি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে সংশোধনী আনলেও এই অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করতে পারেনি। শেয়ার দর অতিমূল্যায়িত হওয়ায় কোম্পানিগুলো লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে বাজারে অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে। ফলে ওই সকল অযোগ্য বিডারদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি করছি।
উক্ত চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির দুর্বলতার কারণে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ, ইস্যু ম্যানেজার ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা পরস্পর যোগসাজসের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অতি মূল্যায়িত করে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। বিএসইসি যেটা কোনভাবেই রোধ করতে পারছে না। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বাতিল করে পূর্বের ন্যায় ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতি অনুমোদনের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।