দেশের পুঁজিবাজারে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় তালিকাভুক্ত ৫১ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৫০ কোটি বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই ঘোষণা করা হয়েছে। যা বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) স্ব স্ব কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে প্রদান করা হবে।
এদিকে অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর বোনাস শেয়ারের পরিমাণ কমে এসেছে। একইসঙ্গে নগদ লভ্যাংশের সঙ্গে বোনাস শেয়ারের ব্যবধানও বড় হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে বিভিন্ন তালিকাভুক্ত কোম্পানি। সেখানে বোনাস শেয়ারের পরিমাণ ৫০ কোটি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তালিকাভুক্ত ৫১ কোম্পানি পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় ৫০ কোটি ২৫ লাখ বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যা কোম্পানিগুলোর এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে প্রদান করা হবে। এতে কোম্পানিগুলোর ৫০২ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়বে।
এ বছর নগদের চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্স ট্যাক্সের শাস্তি আরোপের কারনে বোনাস শেয়ারের পরিমাণ অন্যান্যবারের থেকে কমে এসেছে। কারন নগদের চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার দিতে গেলেই পুরো বোনাসের উপরে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ করারোপের শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
তারপরেও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে ৯টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া ৪টি কোম্পানির পর্ষদ নগদের চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। ওইসব কোম্পানিগুলোকে বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হবে।
এ বছর বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা ৫১ কোম্পানির মধ্যে ৪২টির পর্ষদ নগদ লভ্যাংশও ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ৩৮টির পর্ষদই বোনাসের চেয়ে বেশি হারে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, করোনার কারনে অনেক কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। তারপরেও নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার কড়াকড়ি আরোপের কারনে এ বছর বোনাস শেয়ার কমে এসেছে। এটাকে খারাপ বলা যাবে না। কারন বোনাস শেয়ারের জন্য পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছরই বোনাস শেয়ারের বড় চাপ বাজারে আসে।
এদিকে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি নগদ লভ্যাংশের ন্যায় শেয়ারহোল্ডারদেরকে বোনাস শেয়ারও সবচেয়ে বেশি দেবে। এ কোম্পানিটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১০ শতাংশ হারে মোট ৫ কোটি ২৭ লাখ বোনাস শেয়ার দেবে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ কোম্পানিটি ৫ শতাংশ হারে ৪ কোটি ২২ লাখ বোনাস শেয়ার ইস্যু করবে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ১০ শতাংশ হারে ৪ কোটি ৬ লাখ বোনাস শেয়ার ইস্যু করবে।
তাছাড়া এ বছর সবচেয়ে কম বোনাস শেয়ার ইস্যু করবে স্বল্প মূলধনী মুন্নু স্টাফলার্স। এ কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ২ লাখ বোনাস শেয়ার দেবে।
এরপরের অবস্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ৭ লাখ এবং স্টাইলক্রাফট ও মেঘনা সিমেন্ট ১৩ লাখ করে বোনাস শেয়ার ইস্যু করবে।
* শুধুমাত্র বোনাস লভ্যাংশ
** নগদের চেয়ে বেশি বোনাস