1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
এক নজরে ৩৩ কোম্পানির নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৩ এএম

এক নজরে ৩৩ কোম্পানির নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
NO-dividend-

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৩ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে মুনাফা করা ৪ কোম্পানিও রয়েছে।

সম্প্রতি পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৩টির পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময় (৩১ অক্টোবর) শেষেও কোন কোন কোম্পানির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এতে করে ‘নো’ ডিভিডেন্ডের কোম্পানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মহামারী করোনাভাইরাসে ব্যবসায় ধসের কারনে কিছু কোম্পানি এ বছর প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরেও বিনিয়োগকারীরা পর্ষদের ‘নো’ ডিভিডেন্ডকে মানতে পারছেন না।

তাদের মতে, এর আগে নিয়মিত মুনাফার একাংশ দিয়ে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছে, তাহলে এখন বিনিয়োগকারীদের দূরাবস্থার সময় রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দিতে পারবে না কেনো। করোনায় শুধু কোম্পানির ব্যবসা নয়, বিনিয়োগকারীদের অবস্থাও শোচনীয়। এই দিকটাও কোম্পানিগুলোর পর্ষদের ভাবা দরকার ছিল। 

মুনাফা করেও লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ৪ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস, গোল্ডেন হার্ভেষ্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন ও শমরিতা হাসপাতাল।

এই ৪ কোম্পানির মধ্যে শমরিতা হসপাতালের অন্তর্ভূক্তি বিনিয়োগকারীদেরকে অবাক করেছে। করোনা সময় অন্যসব কিছু বন্ধ থাকলেও ওষুধ ও হাসপাতালের ব্যবসা বন্ধ ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবেই শমরিতা হাসপাতালের ‘নো. ডিভিডেন্ডে হতাশ হয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

করোনার মধ্যেও কেউ কেউ প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। কারন করোনায় ওষুধের চাহিদা বাড়লেও অস্বাভাবিক লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ০.৪৮ টাকা মুনাফা হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯.২৪ টাকা লোকসান দেখিয়েছে।

‘নো’ ডিভিডেন্ডের তালিকায় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন করা গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজও রয়েছে। করোনার সময় মানুষের খাবারের চাহিদা না কমলেও ব্যবসায় ধস দেখিয়েছে গোল্ডেন হার্ভেষ্ট। এই কোম্পানিটি ২০১৩ সালে ১৫ টাকা প্রিমিয়াসহ প্রতিটি ২৫ টাকা মূল্যে ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

এরপরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে প্রায় ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ভালো ব্যবসা দেখিয়ে এই টাকা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এরপরে প্রথম বছরের ব্যবসাতেই ধস দেখিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার মতো হতাশাজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পর্ষদ।

এদিকে বেঙ্গল উইন্ডসোর ২০১৩ সালে আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৫ টাকা। কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ২০১১-১২ অর্থবছরের ৩.৫১ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে নেমে এসেছে ০.১২ টাকায়।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দেয় না এমন সব কোম্পানিও এ বছর কোন পরিবর্তন আসেনি। এবছরও বড় লোকসান করেছে শ্যামপুর সুগার মিলস, জিল বাংলা সুগার মিলস ও জুট স্পিনার্স। একইভাবে ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

তবে এবছর অস্বাভাবিক হারে লোকসান হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের। এ কোম্পানিটির আগের বছর শেয়ারপ্রতি ০.৫১ টাকা মুনাফা হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১২৬.৩৬ টাকা লোকসান হয়েছে। যাতে ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

তাছাড়া গত ৬ নভেম্বরের পরে আরও ৪ কোম্পানির পর্ষদ ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর আগে ‘নো’ ডিভিডেন্ড কোম্পানির সংখ্যা ছিল ২৯টি।

নিম্নে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা কোম্পানিগুলোর তথ্য তুলে ধরা হল-

এদিকে ব্যবসায় বড় লোকসানের কারন হিসেবে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের সচিব মো. তাজুল ইসলাম বলেন, করোনার কারনে শ্রমিকেরা না আসা ও বন্যার কারনে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া কিছু মেডিক্যাল প্রোমোশন অফিসার (এমপিও) টাকা পয়সা নিয়ে চলে গেছে ও একটি কারখানা ২ মাস বন্ধ থাকার কারনে লোকসান হয়েছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ