দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিল বাংলা সুগার মিলসের অস্বাভাবিক লেনদেন ও শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণে স্থগিত থাকা লেনদেন পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আগামী রোববার (১ নভেম্বর) থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হবে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, এর আগে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে লেনদেন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

প্রথম দফায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী আরো ১৫ দিনের জন্য কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে হিসবে কোম্পানিটির লেনদেন ১ নভেম্বর থেকে চালু করা হবে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির লেনদেন চালু করা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পৃথক দু’টি বিনিয়োগকারীদের বেনিফিসিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট জব্দ (ফ্রিজ) রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

তাছাড়া ওই দু’টি বিও হিসাবে কোম্পানির মূলধনের প্রায় ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ওই দু’টি পৃথক বিও হিসাব থেকে লেনদেনের জন্যই কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে কমিশন। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই ওই দু’টি বিও হিসাব ফ্রিজ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩১.৬০ টাকা। আর ১৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২১৩.১০ টাকা। অর্থাৎ ২ মাসে শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ।

তবে গত ৩১ আগস্ট জিল বাংলার শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি।

এদিকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনও লভ্যাংশ দেয়নি। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৯৩.৬৯ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি নেতিবাচক নিট সম্পদ মূল্য রয়েছে ৭০১.৪৬ টাকা।

উল্লেখ্য , কোম্পানি গত ৩০ বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনও লভ্যাংশ দিতে সক্ষম হয়নি। এতে প্রতিবছর কোম্পানির লোকসান ভারী হয়ে উঠছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ১৯৯০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে। এ বছর এর নিরীক্ষকরা বলেছিল যে কোম্পানির লাভ করার সম্ভাবনা কম ছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।