পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সোনারবাংলা ইন্সুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৪২ কার্যদিবসে ১০৩ শতাংশ। অন্যদিকে ৪৮ কার্যদিবসে মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। কোম্পানি দুটির এমন দর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বলছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এজন্য কোম্পানি দুটি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্যও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানি দুটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোন কারণ আছে কীনা-তা জানতে চেয়ে কোম্পানি দুটি কর্তৃপক্ষের কাছে সম্প্রতি চিঠি পাঠায় ডিএসই। জবাবে উভয় কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দর বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর সোনারবাংলা ইন্সুরেন্সের প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ১৪ নভেম্বর লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৪৯ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ ৪২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা বা ১০৩ টাকা ২৮ শতাংশ।
এমন দর বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয় এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৭ মে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ দর উঠে ৬৭ টাকায়। গত ১১ সেপ্টেম্বর দর আবার কমে দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৪০ পয়সায়। তারপর পতনের বাজারেও আবার টানা ঊর্ধ্বগতি। গত বৃহস্পতিবার এসে দাঁড়ায় ৪৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার।
অপর কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১ সেপ্টেম্বর ছিল ২৩ টাকা ৪০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ১৪ নভেম্বর লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ৭০ পয়সায়। অর্থাৎ ৪৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছ ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৫৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এমন দর বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৪৩ কোটি ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির শেয়ারের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত বছর ৯ এপ্রিল শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২০ টাকা ৫০ পয়সা। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দর উঠে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায়। এরপর গত ২৮ জুলাই দর কমে দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৮০ পয়সা। তারপর আবার টানা বেড়ে গত বৃহস্পতিবার এসে দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ৭০ পয়সায়।
শেয়ারবার্তা / সাইফুল